বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সিলেটে কমবেশি লেগেই থাকে পর্যটকদের ভিড়। তবে সড়কের কারণে প্রায়ই দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটকদের। কমছে পর্যটক সমাগত। লোকসানের শঙ্কায় এই খাতের উদ্যোক্তরা।
লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামলেও গত দুই বছর ধরে এখানে ভিন্ন চিত্র। এখন শহরের বেশিরভাগ হোটেলের রুম ফাঁকাই পড়ে থাকে।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা মনে করেছেন নগরী থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার সড়কগুলোর দুরবস্থার কারণেই সিলেটে পর্যটক সমাগম কমছে।
এদিকে সিলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। এই সড়কের অবস্থা একেবারে করুন। সিলেট- তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুর বাজার পার হলেই ভোগান্তি শুরু। ৫৭ কিলোমিটার এ সড়কের জৈন্তাপুর থেকে জাফলং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। মাঝেমধ্যেই দু-তিন ফুটের গর্ত। অনেক জায়গাতেই কার্পেটিং উঠে গেছে। তামাবিল পয়েন্ট পার হলেই সড়কের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ভাঙ্গাচোরা সড়কের দুভোর্গ আরও বাড়িয়ে ধুলো। পাথর ভাঙ্গার মেশিনের ধুলোর কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলই দায়।
এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকৌশলী রাশেন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, এই সড়ক সংস্কারের জন্য তিনটি কালভার্ট এবং চৌরাঙ্গির কাচা রাস্তা থেকে রাতারগুলের পর্যটক স্পট পর্যন্ত পাকা রাস্তার জন্য ১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের টেন্ডার হয়ে গেছে। শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
জাফলংয়ের মতো সিলেটের অন্য দুই পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে যেতেও একই অবস্থা। বিছনাকান্দির দূরত্ব সিলেট থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এ দূরত্বের গোয়াইনঘাট উপজেলার বঙ্গবীর রোড থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
জলারবন খ্যাত রাতারগুলে যেতে হলেও পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সিলেট থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরত্বের এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশই ভাঙাচোরা। সরেজমিনে, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ধোপাগুল পয়েন্ট থেকে সাহেবের বাজার সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বড় বড় খানাখন্দকে পুরিপূর্ণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তার দুইধারেই ডজন খানেক স্টোন ক্রাশার স্থাপনের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এ ছাড়া ওই সড়কের চানুপুর থেকে মোটরঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। এতে করে বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে পর্যটক যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সিএনসি চালিত অটোরিকশা আর লেগুনা ছাড়া কোনো গাড়িই যেতে চায় না রাতারগুল ও বিছনাকান্দিতে।
বাংলাদেশ পর্যটক করপোরেশনের সাবেক সদস্য ডা. জাকারিয়া আহমদ বলেন, ভাঙ্গাচোরা সড়কের কারণে আগামী ঈদেও সিলেটে তেমন পর্যটক আসবেন বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, কেবল দামি দামি রিসোর্ট করলেই তো পর্যটকরা আসবে না। পর্যটকরা রিসোর্ট দেখতে আসে না। সিলেটে পর্যটক বিকাশে অনেকগুলো বাধা রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা অন্যতম।
এসএস